সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় চলছে নির্বাচন। প্রার্থীরা ভোটের জন্য প্রচার-প্রচারণা, মিটিং- মিছিল নিয়ে ব্যাস্ত। আর পাবলিক ব্যস্ত কোন জায়গা থেকে কার কাছ থেকে কিভাবে ফায়দা লুটতে পারে। নির্বাচন কেন? ভোট কাকে দিচ্ছি?? কি করছি আমরা? কি হওয়ার ছিল?
কখনো কি নিজের বিবেক কে প্রশ্ন করে দেখেছি? চেয়ারম্যান মেম্বার হওয়া কোন গর্বের বিষয় নয়। কেননা একজন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার একটি ওয়ার্ড এর দায়িত্বে থাকেন। একজন ইউপি মেম্বার এর উপর হাজারো মানুষের দায়ভার পরে। আর একজন চেয়ারম্যান এর উপর লাখো মানুষের দায়ভার বর্তায়। তাই যে কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যান বা মেম্বার হওয়ার যোগ্য নন। কেননা সবাই সবরকম দায়িত্ব পালন করতে পারে না। একজন যোগ্য নেতা হওয়ার জন্য যেসব গুণাবলী প্রয়োজন তা সবার মাঝে থাকে না। সুতরাং এখানে যদি ভুলবশত অযোগ্য লোক নির্বাচিত হয় তাহলে জনগণের হক বা অধিকার সঠিকভাবে আদায় হবে না। তাহলে চিন্তা করে দেখুন চারদিকে যা হচ্ছে তা কী ? যদি আমরা বাস্তব অবস্থার দিকে তাকাই কি দেখতে পাই? আজকে যোগ্যতা থাকা নয় ; টাকার জোর, দলীয় জোর, সামাজিক প্রতিপত্তি ইত্যাদি থাকলেই যেন আমরা ভোট যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি। কিন্তু একটা বারও কি চিন্তা করে দেখেছি কেনো আমরা ভোট চাচ্ছি??
কেন নির্বাচন করছি আর কেনই বা ভোট দিচ্ছি, কাকে ভোট দিচ্ছি, ??? এর প্রত্যেকটা ভেবে দেখার বিষয় ।
যার ইচ্ছা প্রার্থী হচ্ছে নির্বাচনে। কিন্তু আমি নিজেও বুঝতে পারছে না যে আমি চেয়ারম্যান বা মেম্বার হয়ে হাজারো কিংবা লাখো মানুষের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিচ্ছি। যদি এর মধ্যে বিন্দুমাত্র ব্যর্থ হই, তবে ইহকাল এবং পরকালে আমার জন্য কঠিন জবাবদিহিতা রয়েছে। যদিও ইহকালে জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হয় না তবুও মানুষের দ্বারে দ্বারে অপমানিত হতে হয়।
অবশ্য এসব অপমানজনক কথা ভোট চোরদের কর্ণকুহরে প্রবেশ করে না।
ভোট কি আমাদের অধিকার নাকি আমানত?
“আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব” আসলেই কি এটা???
না।
ভোট মানে সমর্থন। আর এই সমর্থনটা অবশ্যই একজন সৎ যোগ্য এবং ভালো গুণ সম্পন্ন মানুষকে করতে হবে। যাকে খুশি তাকে ভোট দিলে ভোট আদায় হবে না। এর জন্য পরকালে কঠিন জবাবদিহিতা রয়েছে। তাই “আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব” এই ধরনের কথা বলে পার পাওয়া যাবে না।
আজকে বাস্তব চিত্র যদি আমরা দেখি – তবে দেখা যাচ্ছে ভোট সাধারণত আমরা পছন্দের দল কিংবা পছন্দের প্রার্থী কিংবা যে আমাকে কিছু সুবিধা বর্তমান এবং ভবিষ্যতে দিয়েছে বা দিতে পারবে বলে মনে হয় তাকে দিচ্ছি। তার মধ্যে সততা নেতৃত্বদানের যোগ্যতা বিচারের ক্ষমতা ইত্যাদি থাকুক আর নাই থাকুক।
দিনশেষে হিসেব করলে দেখা যায় যে দুনিয়া এবং আখেরাতে আমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তাই আসুন ভেবেচিন্তে নিজের বিবেককে খাটিয়ে সৎ এবং যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেই।