আসলে বিজয় দিবস কার ?

সম্প্রতি ভারতীয় উগ্রবাদী কট্টরপন্থী প্রধানমন্ত্রী বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের অস্তিত্ব অস্বীকার করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ত্যাগের মহিমা গেয়ে টুইটারে পোস্ট দিয়েছে।

সিরাজ তালুকদার বিশাল সম্পত্তির মালিক। তার দুই ছেলে। তিনি গ্রামের একক প্রভাবশালী গ্রামের সবাই তাকে মান্য এবং সমীহ করে চলে। কিন্তু পাশের গ্রামের দুষ্ট মোড়লদের ষড়যন্ত্রে তার প্রতিপত্তি বেশিদিন টিকে নি। কোন এক সময় তার ক্ষমতা এবং সম্পত্তি জবরদখল হয়ে যায়। একসময় সিরাজের তালুকদার মারাও যান। কিন্তু তার দুই ছেলে বাবার ক্ষমতা এবং সম্পত্তি পুনরায় দখল করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যায়। অবশেষে তারা বেশ কিছু সম্পত্তি দখল এবং আংশিক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয় বাকি সম্পত্তি এবং ক্ষমতা একই গ্রামের আরেক কুচক্রী মোড়লের হস্তগত থাকে। কিন্তু এই দুই ভাইয়ের ঐক্য এই কুচক্রী মোড়ল মেনে নিতে পারে না। সে ভয় করে যদি তারা একই সাথে এরকম এক সাথে থাকে তবে যে কোন এক সময় তাদের পিতার মতো গ্রামে একক আধিপত্য বিস্তার করবে। তাই কুচক্রী মোড়ল সুযোগের সন্ধানে থাকে যেন কোনভাবেই এই দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করে তাদের ঐক্য নষ্ট করে দেওয়া যায় ; এবং সে একসময় সেই সুযোগ পেয়েও যায় সম্পত্তির ভোগ দখল এবং ক্ষমতা নিয়ে কোন এক সময় সেই দুই ভাইয়ের মধ্যে আভ্যন্তরীণ কোন্দল বিরাটাকার ধারণ করে। দুই ভাইয়ের মধ্য হতে ছোট ভাইকে (যে অপেক্ষাকৃত দুর্বল) সেই মোড়ল গোপনে কাছে ডেকে নেয়। স্বার্থ সিদ্ধির জন্য তাকে বুঝায় যে, ” তোমাকে ও ঠকাচ্ছে। তুমি ওর থেকে আলাদা হয়ে যাও। এর জন্য যা করা লাগে আমি করব। ” ফলে ইন্ধন পেয়ে ছোট ভাই তার দলবল নিয়ে আলাদা হয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়। ওদিকে বড়ভাই ও তা জানতে পেরে এটা ঠেকাতে ভুলক্রমে বলপ্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে এক চুড়ান্ত যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠে দুই ভাইয়ের মধ্যে। সে যুদ্ধে কুচক্রী মোড়ল স্বাভাবিক ভাবেই দুর্বল ভাইয়ের বন্ধু সেজে পক্ষ নেয়। যেন দুই ভাই আলাদা হয়ে সবসময়ই একে অপরের শত্রু হয়ে থাকে। ফলাফল যা হবার তাই।,,,,,,,দুই ভাইয়ের ভুলে ক্ষমতা এবং সম্পত্তি আলাদা আলাদা।

,,,,,,,,আর,,,,,

পিতার একক রাজত্বে ভাগ বসানো কুচক্রী মোড়ল এবার নিরাপদ !

এবার বলুন তো বিজয় কার?

ভারতীয় চক্রান্তে ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর( কথিত বিজয় দিবসে) পাকিস্তান ভেঙে টুকরো হয়ে বাংলাদেশ এর অভ্যুদয় হয়। সেদিনই ভারতের পার্লামেন্টে তৎকালীন মুসলিম বিদ্বেষী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বিজয়ের মুষ্টি উঁচিয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘হাজার সাল কা বদলা লিয়া’ অর্থাৎ হাজার বছরের প্রতিশোধ নিয়েছি!
সামান্য কাণ্ডজ্ঞান সম্পন্ন মানুষ উপরের কথাটি শুনলে কোন প্রকার ব্যাখ্যা ছাড়াই বুঝতে পারে যে কথাটি তিনি কেন বলেছিলেন। অর্থাৎ উগ্রবাদী হিন্দুরা তখন হাজার বছরের মুসলিম ঐক্য আর আধিপত্য ভেংগে দিতে পেরেছিল পশ্চিম পাকিস্তানি অত্যাচারী সেনাবাহিনী এবং বাংলার মীরজাফরদের কারণে ।