সাম্প্রতিক সবাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আর ফ্যাসিবাদের শেকড় উৎপাটনের কথা বলছে, কিন্ত আসুন দেখি বাস্তবতা কি!
বাংলার প্রাচীন কালের ইতিহাস এর পাতায় চোখ বুলিয়ে দেখুন। প্রায় ০% মুসলিম এর দেশ মাৎসন্যায় এ সয়লাব তখন জাতিকে ইনসাফ আর আলোর পথ দেখায় একদল মুসলমান।
আট শত বছরে বহু নন্দিত – নিন্দিত শাসক গোষ্ঠী পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আজও ৯০% লোক ইসলামের আলোকে বুকে ধারণ করে রেখেছি।
কেন?
কারণ ইসলাম মানুষের মনকে সত্যের সন্ধান দেয়। সমস্ত অন্যায় আবিচারে পথ রুদ্ধ করে আলোর পথ দেখায়।
ব্যাক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় জীবনে সত্য এবং ন্যায়ের রাস্তা দেখায়।
চ্যালেঞ্জ?
জ্বী, ওপেন চ্যালেঞ্জ। বর্তমান পৃথিবীতে রাষ্ট্র পরিচালনা এবং শাসন এর জন্য ধরনের ইজম আর ক্রেসি চালু আছে তার মধ্যে একমাত্র ইসলামি শাসন ব্যবস্থাই পরিপূর্ণ ভাবে ফ্যাসিবাদের কালিমা মুক্ত।
যারা গণতান্ত্রিক বা সমাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় ফ্যাসিবাদের মুক্তি দেখছেন তারা ভাল করে লক্ষ্য করে দেখুন।
এসব তন্ত্র ই ফ্যাসিবাদের মূল উৎপত্তিস্থল। এগুলোর কোনটা ব্যাক্তি স্বাধীনতার নামে মানুষের মাঝে দলাদলি এবং মতবিরোধ সৃষ্টি করে।
আবার কোনটা সাম্যের নামে শোষণযন্ত্র তৈরি করে মানুষের প্রকৃত স্বাধীনতাকে হরণ করে।
মজার বিষয় কি জানেন?
তথাকথিত গণতন্ত্র ই ফ্যাসিবাদের মূল উৎপত্তিস্থল। কারণ সকল মানুষের মত কখনো এক হবে না। আবার কোন একটি সংখ্যা গরিষ্ঠ দল বা গোষ্ঠীর ঐক্যমত যে সবার জন্য ন্যায় সঙ্গত হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই।
কারণ মানুষ কখনোই ভুলের উর্ধ্বে নয়। কিন্তু গণতান্ত্রিক শাসন ব্যাবস্থায় সংখ্যা গরিষ্ঠদের নির্বাচিত গুটিকয়েক প্রতিনিধিদের সিদ্ধান্তই সবার উপর চাপিয়ে দেয়া হয়।
যদিও তা অন্যায়, বৈষম্যপূর্ণ হয়। আর বৈষম্য বা অন্যায় কেউ মেনে নিতে পারে না। সেখান থেকেই তৈরি হয় দলের, মতের, স্বার্থের, ক্ষমতার সংঘর্ষ।
ইসলাম ফ্যাসিবাদের চিরস্থায়ী বিলুপ্তি ঘটায়- কারণ ইসলামি আইন মহান স্রষ্টা প্রদত্ত এবং অপরিবর্তনীয় – সার্বজনীন এবং পুরোপুরি ইনসাফ পূর্ণ। এখানে শাসকের নিজস্ব ক্ষমতা থাকে না। উনি হন খলিফা বা প্রতিনিধি। তাই কেউ মনমত আইন তৈরী করে নিজস্ব পছন্দসই তা প্রয়োগ করতে পারে না।
কলকারখানায় যে বড় বড় প্রোডাকশন মেশিন থাকে সেগুলো বেশ কয়েকটি ছোট ছোট মেশিনের সমন্ময়। মেশিন যে কোম্পানি তৈরি করে সে পুরো সিস্টেমের ইন্সটলেশন, অপারেশন, ট্রাবলশুটিং এবং সতর্কতার নির্দেশনা দিয়ে একটি ম্যানুয়াল দেয়। যার মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশের কথাও বাদ যায় না, কারণ এগুলো পারস্পরিক সম্পর্ক যুক্ত।
এখন এর ব্যবহারকারী যদি ম্যানুয়াল বাদ দিয়ে মন মত মেশিন ব্যবহার করা শুরু করে তবে সেখানে ম্যালফাংশন হবে। এবং সে মেশিন কালকের পরিবর্তে আজকেই নষ্ট হবে। এই অবস্থার নামই ফ্যাসিজম।
তাই মহান সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত এর প্রদত্ত নির্দেশনা ব্যাতিত, মনগড়া ভাবে রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনা করে ফ্যাসিবাদের বিলুপ্তির চিন্তা করা আর ধান বুনে গম আশা করা একই বিষয়।